কয় একদিন আগে একটা প্রফেশনাল লিডারশীপ ট্রেনিং এর সময় ট্রেনার জেনারেশন এক্স এর বিবিধ বৈশিষ্ট্য নিয়ে অনেক কথা বললেন। আমাদের জেনারেশন টা নাকি জেনারেশন এক্স। কিছু বিদেশি লিটারেচারে এই ধারনা টা আগেও পাইছিলাম। একটু পড়া শোনা করে জানা গেল, ইহা সত্য। আমি জেনারেশন এক্স । বেশ কিছু বড় বড় ঘটনার প্রবাহে আমি এবং আমার প্রজন্ম প্রভাবিত হইয়াছে। ইহার মধ্যে আছে ১৯৯৪ এর সামার অলিম্পিক , ৮৬ এর চ্যালেঞ্জার ডিজাস্টার , রোনাল্ড রিগান এর ইলেকশন ,বার্লিন ওয়াল্ এর পতন ইত্যাদি। এই টার আগে বেবি বুমারস বলে এক জেনারেশন নিয়ে পড়তে পড়তে কান ঝালা পালা হয়ে গেছে।
আমি ডিলান এবং পিঙ্ক ফ্লয়েডের ব্যাপক ভক্ত। এদের নিয়ে যা পাই তাই পড়ি। তাদের নিয়ে লেখা সব বই আর পত্রিকাতে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রটেস্ট থেকে জেগে ওঠা গঞ্জিকা সেবী উদার সেক্সে বিশ্বাসী, বেবি বুমারস নামে একটা নতুন জেনারেশন কথা পাতায় পাতায় আছে যারা সকল প্রথা ভেঙ্গে লিবারেল মুভমেন্ট এর সূচনা করছে এবং বর্তমান বিশ্ব কে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দ্বন্দ্ব টা লাগলো – আমরা এই ভেতো বাঙ্গালি এই সকল ইঙ্গ মার্কিন ঘটনা প্রবাহে এত প্রভাবিত হইলাম কেমনে?
আমাদের ঘটনা প্রবাহ তো আলাদা। আমাদের মনন আর মানসে যুগান্তকারী লুচ্চা এরশাদ এর ১০ বছর এর শাসন, ৯০ এর আন্দোলন , ঘাতক দালাল আন্দোলন, ই টিভির আগমন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা প্রভাবিত হয়েছি হুমায়ূন আহমেদ এর বাকের ভাই, অয়োময় দেখে আর মাসুদ রানা পরে। আমাদের জেনারেশন এর ধারনাতো ইঊ এস সামার অলিম্পক্স এর ফলে প্রভাবিত জেনারেশন সাথে মেলার কথা না।
তাই এই নিয়ে আমার কিছু অবযারভেশান।
আমাদের জীবত্ দশায় দেখা জেনারেশন গুলো কে মূলত চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
ব্রিটিশ আমলের জেনারেশন। /British Era Generation
পার্টিশন এর সময় ২০ থেকে ৪০ পর্যন্ত ছিল যাদের বয়স তাদের একটা মাইন্ড সেট আছে। এদেরকে এই নোট এ বিষদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা জেনারেশন। / Liberation War Generation
মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৪০ তাদের কে একটা জেনারেশন এ ধরা যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এর আত্ম বলিদানে , এই জেনারেশন টার হাতে জন্ম নেয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। .তাদের জীবনে ভূমিকা রেখেছে পুরো পাকিস্তান আমলে জুরে বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলন, ৬ দফা, আসাদ এর রক্ত, রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা ভিত্তিক সিনেমা, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান টিভি, উর্দু আধিপত্যের বিরূদ্ধে বাঙ্গালির আত্ম পরিচয় নির্মাণের সংগ্রাম, ৬৫ এর পাক ভারত যুদ্ধ, স্বাধীনতার পর বিশাল বড় একটা শূন্যতার মধ্যে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সুযোগ এই জেনারেশন কে ডিফাইন করেছে।
প্রজন্ম একাত্তর। / Generation Seventyone
এই জেনারেশনটা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি বা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিতান্তই নাবালক ছিল। প্রজন্ম একাত্তর পেয়েছে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। এই সময়ে যাদের বয়স ৩০ থেকে ১০ তাদের কে বলা যায় প্রজন্ম একাত্তর। এই জেনারেশনকে ডিফাইন করেছে, ১০ বছর ধরে চলা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন, বিশ্ব অর্থনৈতিক উদারীকরণের সুবাদে পোশাক শিল্পের ব্যাপক প্রব্রদ্ধির কারনে মধ্যবিত্তের এক্সপানশন, ১৯৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর নির্বাচন, ১৯৯৮ শালের শেয়ার মার্কেট ক্র্যাশ ও একুশে টিভির ও আকাশ সংস্কৃতির আগমন।
সেটালাইট জেনারেশন বা মিলেনিয়াম জেনারেশন / Satellite or Millennium Generation
এই জেনারেশন এর অন্যতম একটা রেফারেন্স পয়েন্ট ২০০০ শতক। এদের অন্যতম ঘটনা,আকাশ সংস্কৃতির আগমন , বাংলাদেশের কর্পোরেট কালচার এর বিকাশ, মোবাইল ফোন এর আগমন, ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা আসা,সাইন্স পরা বাঙ্গালির হঠাৎ কমার্স পরার ঝোঁক সৃষ্টি হওয়া, ২৪ ঘণ্টা এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল এর আগমনে ৫ দশকে ঘরে ওঠা মধ্যবিত্তিয় ভালু গুলোর অকস্মাৎ প্রস্থান ইত্যাদি ইত্যাদি।
ডরিমন জেনারেশন / Doraemon Generation
আশা করি এই জেনারেশন কে ব্যাখ্যা করার কিছু নাই।
এই আলোচনা টাকে আমার ইতি পূর্বের একটা লেখা, বাবা কেন চাকর, আমাদের শ্রেণী বৈষম্যের ধারনা নাম এর একটা লেখার সাথে মিলিয়ে পড়লে ভাল হয়। কারন, এই লেখা টাতে অনেক গুলো আইডিয়া শ্রেণী বৈষম্যের ধারনা থেকে এক্সপান্ড করবে।
প্রথম শুরু করা যাক, ব্রিটিশ আমলের জেনারেশন বা আমাদের দাদু বা বা দাদু দের জেনারেশন থেকে।
ব্রিটিশ আমলের জেনারেশন
এই জেনারেশন এর জীবৎকালের সব চেয়ে উল্লেখ যোগ্য ঘটনা ৪৭ এর পার্টিশন বা ভারত বিভাগ। এই সময়ে যাদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৪৫ তারা সবাই এই ব্রিটিশ আমলের জেনারেশন এ অন্তর্ভুক্ত হবেন। পার্টিশন এর সময় ২০ থেক ৪৫ বছর ধরে, আজ ২০১২ শালে উনাদের বয়স ৮৫ থেকে ১১০। আমাদের দেশে মানুষ ৭০ থেকে ৮৫ ম্যাক্সিমাম স্বাভাবিক আয়ু পায়। ফলে এই জেনারেশন এর অল্প কিছু প্রতিনিধি এখনো বেচে আছেন এবং বেশির ভাগই বিগত হয়েছেন।
রাজনৈতিক চেতনা
সতর্ক করে দেই, ব্রিটিশ আমলের জেনারেশন এর রাজনৈতিক বোধে ব্যাপক একটা সাম্প্রদায়িক চেতনা খুঁজে পাওয়া যাবে। কারন পার্টিশন এর পূর্বের ৫০ বছরে, বাঙ্গালি মুসলমান এবং বাঙ্গালি হিন্দু দের রাজনৈতিক চেতনা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত মুখি।
এক দিকে ছিল কংগ্রেস যা ছিল একটা সেকুলার রাজনৈতিক দল যেখানে হিন্দু মুসলমান উভয়ের প্রতিনিধিত্ব ছিল। কংগ্রেস এর ইন্টারেস্ট ছিল যে কোন মূল্যে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করা। কংগ্রেস এর সাথে সাথে কলকাতার জমিদার এলিটদের পূর্ব বঙ্গের জমিদারি গুলো টিকিয়ে রাখার তাগিদ ছিল তীব্র। ফলে তারাও মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব বাংলাকে ভিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার ধারনের তীব্র বিরোধিতা করে। ( তারা বঙ্গভঙ্গের ও ব্যাপক বিরোধিতা করে, যেইটা মুসলমান জনগোষ্ঠী স্বাগত জানিয়েছিল। )
অন্য দিকে ছিল জিন্নাহ এর নেতৃত্বে মুসলমান দের প্রতিনিধি মুসলিম লিগ যারা ভারত এর হিন্দু শাসক শ্রেণির প্রভাব বলয় থেকে আলাদা হয়ে মুসলমান দের জন্যে আলাদা রাষ্ট্র গড়তে ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিল। মুসলিম লিগের সিনিয়র নেতৃতে বাংলার প্রতিনিধি ছিল হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ও শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক ও ভাসানী। ভাসানী ছিলেন পূর্ব বাংলা মুসলিম লিগের সভাপতি।
এই বিপরীত মুখি ধারনা থেকে, পার্টিশনের এর পূর্বে এই অঞ্চলে বেশ কয় একটা দাঙ্গা হয় । ১৯৪৬ এর ১৫ অগাস্ট মুসলিম লিগ আহবান কৃত পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্যে দেয়া হরতাল এর দিন কলকাতায় হয় ব্যাপক একটা মুসলিম ম্যাসাকার http://en.wikipedia.org/wiki/Direct_Action_Day এবং পরবর্তী অক্টোবর মাসে লক্ষী পূজার দিন থেকে শুরু করে নোয়াখালীতে হয় হিন্দু ম্যাসাকার। http://en.wikipedia.org/wiki/Noakhali_genocide যে দাঙ্গা থামাতে গান্ধি নিজে ছুটে আসেন নোয়াখালীতে। দুই সম্প্রদায় সম্পূর্ণ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
ভারত বর্ষের ইতিহাসে একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব নিম্ন বর্ণ হিন্দু দের অবিসংবাদিত নেতা বিরু আম্বেদকার সাহেব এই সময় সম্পর্কে বলেছেন, “হিন্দু এবং মুসলমান দের মধ্যে গৃহযুদ্ধ ও তার মাঝে কিছু সশস্ত্র বিরতি ” বলে।
কংগ্রেসের বিরোধিতা আর মুসলিম লিগ এর চাওয়ার মধ্যে, সোহ্রাওয়ার্দীর অবিভক্ত বাঙলার প্রস্তাব ইতিহাসে সাইড নোট হয়ে আছে। ২৪ এপ্রিল হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী দিল্লি তে একটা প্রেস কনফারেন্সে বাঙলা কে ভাগ না করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু, কংগ্রেস এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তারা বুঝতে পারে বাংলা অবিভক্ত থাকলে, হিন্দু রা হয়ে যাবে মাইনরিটি, যেইটা ঐ সময় কার দাঙ্গা গুলোর প্রেক্ষাপটে মেনে নেওয়া অসম্ভব ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৩৬ এর প্রভিন্সিয়াল অটনমি স্কিম ১৯৩৬ এর ইলেকশন অনুসারে এই সময় অবিভক্ত বাংলার এই সময় শাসক ছিল যৌথ ভাবে ব্রিটিশ দের সাথে মুসলিম লিগ, যার প্রধান ছিলেন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী । এই প্রস্তাব টা এর বেশী আর আগায় নাই।
এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণে ব্রিটিশরা ১৯৪৬ সালে একটা ইলেকশন দেয় যাতে, মুসলিম লিগ তৎকালীন পূর্ব বাংলা তে, ৯০% সংখ্যা গরিষ্ঠটা পায়। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে টাই পরবর্তীতে হয় ইস্ট পাকিস্তান।
অনেকের একটা ধারনা আছে, জন রেডক্লিফ মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায়, কলমের খোঁচায় যে দাগ দিয়ে গেছেন সেই ভিত্তিতে হয়েছে, ভারত পাকিস্তানের বিভাজন। এইটা খুবি ভ্রান্ত ধারনা। বাস্তবিক পক্ষে কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগ নেতাদের সাথে প্রতি ইঞ্চি এলাকা নিয়ে ব্যাপক দর কষাকষি হয়। এই সময় কংগ্রেস পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির ঘোর বিরোধিতা করে এবং মুসলমানেরা যেভাবেই হোক নিজেদের জন্যে রাষ্ট্র পেতে অনেক ধরনের ছাড় দেয়। ভারতের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ মুসলমান প্রধান এলাকা হলেও তা ভারতের সীমানায় রয়ে যায়।
মূলত ১৯৪৬ এর ইলেকশন টাই ছিল পার্টিশনের মুল ভিত্তি।
ফলে এই জেনারেশানের মানুষ দের রাজনৈতিক চেতনা আলোচনা করতে গেলে দেখা যাবে, ধর্মীয় চেতনা টাই ভারত বিভাগের সময় পূর্বে সব চেয়ে সক্রিয় চেতনা ছিল হিন্দু মুসলমান উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এবং স্পেশিয়ালি মুসলমানদের মধ্যে ও তাদের আগের জেনারেশন গুলোর মধ্যে মুসলমান হিসেবে নিজেদের ধর্মীয় এবং সামাজিক পরিচিতির আত্মপ্রকাশ করা টা ছিল তীব্র একটা চেতনা, যেই টা কংগ্রেসের অসাম্প্রদায়িক সর্ব ভারতীয় চেতনার সাথে সাংঘরশিক ছিল ।
ফলে পাকিস্তানের জন্ম যারা দিয়েছেন তারা , সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে মুসলিম একটা সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চেয়েছেন এবং পেয়েছেন। হাজারো বছর সহ অবস্থানে থাকা বাঙ্গালি মুসলমান রা কেন হঠাৎ, একটা সেপারেট মুসলমান রাষ্ট্র চাইলেন এবং সেই টা পেতে কেন এমন অন্ধ হয়ে গেলেন যে, তারা হাজার বছরের ঐতিহ্য বিনষ্ট করে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা ঘটালেন এবং বাঙ্গালিদের দেশ না হয়ে তারা পাকিস্তান হয়ে যাওয়াটাও অল মোস্ট বিনা প্রতিবাদে মেনে নিলেন, সেই টা বুঝতে আরও পুরনো ইতিহাস ঘাঁটার প্রয়োজন।
আপাত দৃষ্টিতে সাম্প্রদায়িক মনে হলেও, তার প্রধান কারন ইতিহাসের প্রতি টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মত অর্থনৈতিক। পূর্ব বঙ্গের মুসলমান কৃষকেরা বর্গা চাষ করতেন কলকাতা ভিত্তিক বড় বড় জমিদারদের। তাদের মধ্যে খুব কম অংশের ভূমির মালিকানা ছিল। এর সাথে সাথে গোঁড়া মনোভাবের কারনে ব্রিটিশ শিক্ষা কে বর্জন করে লেখা পড়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত না থাকাতে,, তারা কোন মতেই কলকাতা ভিত্তিক এলিট হিন্দু দের সাথে কম্পিটিশনে পেরে ওঠেনি। ফলে সরকারি চাকুরী, জুডিশিয়ারি, বুরোক্রেসি সহ সব কাজেই ছিল মুসলমান দের প্রতিনিধিত্ব ছিল শূন্যের কাছাকাছি। এই অবস্থা দূর করতে ঢাকা ইউনিভারসিটির প্রতিষ্ঠা হয় অনেক পরে , ১৯২০ সালে । ফলে তারা মনে করেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের জন্যে আইডেন্টিটি সৃষ্টি করার সুযোগ হবে ।
পরবর্তী তে আমরা দেখবো মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম যখন বাংলাদেশ নাম এর রাষ্ট্র টা জন্ম দেয় তাদের মূল চেতনা ছিল বাঙ্গালি এর জন্যে একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টি করা। এই ব্রিটিশ জেনারেশনের কমিউনাল মুসলমানেরাই তাদের ভুল টা বুঝে কেমনে বাঙ্গালি চেতনায় পরিস্ফুট হয়ে একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টিতে মগ্ন হল সেই আলোচনা আসবে মুক্তিযোদ্ধা জেনারেশন কে নিয়ে আলোচনায়।
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর, এই জেনারেশন এর সেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টির বিপদ টা খুব তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করে। পশ্চিম পাকিস্তানী দের শোষণ থেকে মুক্তির লড়াই ছিল, এই জেনারেশন এ প্রকৃত যুদ্ধ। ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ১৯৭১ এই জেনারেশন এর কম বয়সী গ্রুপ টার জন্যে ছিল বাঙ্গালি জাতির স্বাধিকার আদায় এর যুদ্ধ। তত কালীন সময়ে অর্থনীতিক এবং সাংস্কৃতিক এক্তিভিটির অভাবে, এই রাজনীতি এখন কার মত ঐ জেনারেশনের একটা প্রধান পাস টাইম ছিল বলে মনে হয়। আমরা যে সকাল বিকাল রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকি, সেই অভ্যাস আমাদের দাদুদের জেনারেশান থেকে পাওয়া।
এই সময়ের গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা গুলো ছিল ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লিগ গঠন যা পরবর্তীতে আওয়ামী লিগ এ পরিণত হয়। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর ইলেকশন যাতে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লাগি এবং ফজলুল হক এর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক পার্টি এক হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে, এবং নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মুসলিম লিগ কে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করে, ১৯৫৭ শাল এ আইয়ুব খান এর সামরিক শাসন এ বেসিক ডেমোক্রেসির প্রচলন, ১৯৬২ তে সোহ্রাওয়ার্দীর মৃত্যু এবং বঙ্গ ন্ধুর আওয়ামী লিগ র ক্ষমতা গ্রহণ, ১৯৬৫ তে ইন্দো পাক যুদ্ধ, ১৯৬৬ তে ছয় দফা দাবি, ১৯৭০ এর সাইক্লোন এবং নির্বাচন এবং , ১৯৭১ এর সাত এই মার্চ এর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এবং প্রবর্তিতে ২৬ মার্চ এর কাল রাত, নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ সহিদের রক্তের বিনিময়ে বিজয় । এবং বিশ্বের বুকের প্রথম বারের মত বাঙালি জাতির জন্যে একটা আপন ভূখণ্ড অর্জন।
এই জেনারেশন এর মধ্যে ক্ষুদ্র একটা অংশ মুসলিম লিগ এর প্রতি তাদের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রাম এর ২৪ বছর ধরে যে সংগ্রাম চলেছে তাতে তারা পাকিস্তান এর পক্ষ নিয়েছে বার বার।এই টার বেস্ট রেফারেন্স পয়েন্ট হল, ৭০ এর নির্বাচন। যে নির্বাচনে, আওয়ামী লিগ ইস্ট পাকিস্তান এর ১৬২ টা সিট এর মধ্যে ভোট পায় ১৬০ টা । এর সাথে টোটাল ভোট টা যদি আমরা দেখি তাতে আমরা দেখব তাতে আওয়ামী লিগ এর ৭৫% ভোটে এর সাথে দগদগে গা এর মত ফুটে আছে জামাতে ইসলামীর ৬.১%, পাকিস্তান মুসলিম লিগের ৪.৪% ভোট । জামাত ও মুসলিম লিগ এর ১০.৫% ভোট দাতারা মূলত এই ব্রিটিশ জেনারেশন এর ই প্রতিনিধি পরবর্তী কাল এর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেশন এ প্রতিনিধি নয়।
তবুও এটা ধরে নেয়া যায়, প্রাথমিক ভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙ্গে যাওয়া সমর্থন না করলেও, ২৬ মার্চ এর কাল রাত এর হত্যা যজ্ঞ এবং ৯ মাস ব্যাপী যুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও তার দোসর দের অত্যাচারে ৩০ লক্ষ শহীদের মৃত্যু এবং লক্ষ লক্ষ মা বোন দের নির্যাতিত হতে দেখে তাদের অধিকাংশের মন মানসিকতা প্রবর্তন হয়েছিল। যাদের হয়নি, তারাই রাজাকার বাহিনী তে যোগ দেয়
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চেতনা
পার্টিশন পূর্ব বেঙ্গল নামে কথিত এই জনপদ এর রাজনৈতিক চেতনা কে হিন্দু মুসলমান দুই লাইনে এ ভাগ করা গেলেও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোন দিক থেকেই বিভাজন করা সম্ভব নয়। একই বাঙ্গালি কৃষ্টি এবং কালচার ছিল সকল ধর্ম ও জাতির মেল বন্ধন। ব্রিটিশ শাসন এর আমলে ও তার পূর্বে যুগ যুগ ধরে যে অবিভক্ত বাংলা টা মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পরিণত হয়, পাকিস্তান নাম এর একটা ধর্মীয় রাষ্ট্রে।
পূর্ব বাংলা থেকে ব্যাপক পরিমাণে, মাইগ্রেশান হয় পশ্চিম বাংলায়, বিহার অঞ্চল থেকে বড় একটা জনপদ আসে এই অঞ্চলে। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মাইগ্রেশান টা হয়েছিল দাঙ্গার পর, খুব অল্প সময়ে কিন্তু বাংলার এই মাইগ্রেশান টা ছিল পর্যায়ক্রমে। ভারতের ১৯৫১ সালের গণনাতে ২৫ লাখ রিফিউজি ট্রান্সফার হয়েছে বলে হিসেব করা হয়। এবং এই মাইগ্রেশান টা, ভারতীয় হিসেব মতে পরবর্তী ২০ বছরে ৬২ লাখে পৌছায়। এই পার্টিশন টা এই জেনারেশন এর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সকল চেতনা কে ডিফাইন করে। পরবর্তী তে সুনীল, শিরশেন্দু, সমরেশ যারা সকলেই রিফিউজি হিসেবে পরিবারের সাথে মাইগ্রেশান করেছেন তাদের অনেকের লেখায় এই পার্টিশন ব্যাপক ভাবে উঠে আসে। কিন্তু বাংলাদেশের অংশে লেখক সাহিতিক দের মধ্যে তার তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়নি। তার অন্যতম কারন পার্টিশন এর ফলে পূর্ব বঙ্গে থাকা হিন্দু জনগোষ্ঠী সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ এই অঞ্চলে তাদের সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশী।
১৯২০ শালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর জন্ম থেকে পূর্ব বাংলা ভিত্তিক একটা ইন্টেলেজনশিয়া গড়ে ওঠে। তারা প্রবর্তিতে, শিল্প সাহিত্যে নেতৃত্ব দেয়। ঐতিহাসিক ভাবে, বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানী ছিল কলকাতা। ফলে কলকাতার প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশে বেগবান শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ধারা পার্টিশনের পরেও হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের পরেও হয়নি, এখনও হচ্ছেনা। এই অঞ্চলের শিল্পী এবং সাহিত্যিক রা, আদি কাল থেকেই পরশ্রীকাতর, পরিশ্রম বিমুখ, আত্মগরিমায় অন্ধ এবং দুর্বল সাংস্কৃতিক চেতনা সম্পন্ন। ফলে সাহিত্য আর শিল্পের কার্যকর পরিবেশ না থাকা রেডিও পাকিস্তান তখন মানুষের জীবনে ব্রডকাস্ট সংস্কৃতি নিয়ে আশে এবং ১৯৫৬ তে আইয়ুব খান এর আমলে জন্ম নেয় পি টি ভি।
এই সময় সিনেমা মানুষের জীবনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম বাঙ্গালি সিনেমা মুখ ও মুখোশ রিলিজ হয় ১৯৫৬ শালে। জব্বার খান ছিলেন যার হিরো আর ডাইরেক্টর। । ঢাকায় চিত্রিত ও অভিনীত জাগ হূওয়া সাবেরা ছিল উর্দু ভাষায় নির্মিত যা ছিল একটা বিপুল বক্স অফিস ফ্লপ কিন্তু ক্রিটিকস প্রশংসিত। এতে অভিনয় করেছিলেন খান আতা। পরবর্তী তে, ইহতিশাম, জাহির রায়হান সহ আর অনেক নবীন পরিচালক, ঢাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে একটা বিপ্লব নিয়ে আসেন।
ব্যক্তিগত জীবনে এই জেনারেশন ছিল ধার্মিক। এই সময় আরবান পপুলেশন ছিল খুব স্বল্প। ইনাদের অনেকেই খুব আর্লি বয়সে বিয়ে করেন। পুরুষ দের ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিয়ে করা টাই ছিল সামাজিক রীতি, আর মহিলাদের ১৩ থেকে ১৫ ছিল ম্যাক্স। ফর্মালিন মুক্তি খাবার খেয়ে ইনারা বড় হয়েছেন ফলে ইনাদের জেনারেশন এ অনেকেই দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন। ভাসানী, যিনি ১৮৮০ সালে জন্ম নিয়েছেন বাংলাদেশের জন্ম দেখে গেছেন।
ইনারা ছিলেন , খুবি প্রডাক্টভ একটা জেনারেশান। উনাদের ঘরে ঘরে সিক্স এ সাইড থেকে দুই জন এক্সট্রা সহ ফুটবল টিম করা সম্ভব ছিল । এই প্রজন্মের মহিলা রা কেমনে ৫ থেকে ১১ জন বাচ্চা লালন পালন করেছে, তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে একটা ব্যাপক বিস্ময় হিসেবে পরিগণিত হয়।
উনাদের সন্তানেরা ছিল মুক্তিযোদ্ধা জেনারেশনের। কিন্তু নিজেদের সন্তানদের সাথে উনারে সব সময় গাম্ভীর্য পূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন। কিন্তু উনাদের নাতিরা যারা ছিল প্রজন্ম একাত্তর তাদেরকে উনারা ব্যাপক প্রশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু প্রজন্ম একাত্তর এর কাছে উনারা ছিলেন ব্যাক ডেটেড। এবং তাদের যথাযথ মূল্য সমাজ ও সভ্যতা দেয় নাই। বৃদ্ধ বয়সে তারা ব্যাপক অবহেলার শিকার হন।
অর্থনৈতিক অবস্থা
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর একটা ব্যাপক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। পূর্ব পাকিস্তান এর জনগণ এর মধ্যে না ছিল ব্যবসার ধারনা, না ছিল যথেষ্ট শিখিত জনগণ, না ছিল ব্যবসা করার মত ক্যাপিটাল, না ছিল বুরক্রেসি চালানর মত আমলা। প্রশাসনে এই শুন্যতা তা পুরন করা হয়, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে রিক্রুট নিয়ে এসে।
পূর্ব বঙ্গে ইতি পূর্বে তেমন কোন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল না। পূর্ব বাংলার র মেতেরিয়াল দিয়ে সব শিল্প ছিল কলকাতার দিকে। এই খানে ছিল মাত্র চারটি পাটকল যা ছিল অবাঙ্গালিদের মালিকানায়। বাস্তবিক অর্থে পূর্ব পশ্চিম বাংলা , উভয় অংশের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত রাজস্থান থেকে আগত মারোয়াড়ী আর গুজরাটি ব্যবসায়ীদের হাতে। বাঙ্গালি সমাজে ব্যবসা কখন সম্মানিত পেশা ছিল না, এখনও নাই।
যদিও এই সময় ব্যবসা বলতে মূলত ছিল ট্রেডিং। ৪ টা পাট কল বাদে তেমন কোন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে ছিলোনা। ধান, পাট, সরিষা, মশলা সহ আনে ফসল এর ট্রেড ছিল এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক এক্তিভিটি। সে সময় এত রাসায়নিক সার ছিল । প্রতি বছর বন্যায় পলি মাটি যুক্ত মাটি থেকে উৎপাদিত সম্পদ সারা বিশ্বে এক্সপোর্ট হত। পার্টিশনের এর পর এই গুজরাটি ও মাড়োয়াড়ি ব্যবসায়ীরা দেশ ছেড়ে যায় নি। ফলে পূর্ব পাকিস্তান এর বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো মূলত এই মারোয়াড়ী আর গুজরাটি দের নিয়ন্ত্রণে রয়ে যায়। তারা লেবার নিয়োগে, বাঙালি দের থেকে বিহারি দের প্রাধান্য দিত এবং এই থেকে ১৯৫৬ সালে আদমজী তে বিহারি বাঙ্গালি দাঙ্গা হয়।
৪৭ এর পূর্বে পূর্ব বঙ্গের জমিদার রা বেশ বিত্তশালী ছিলেন। তারা তাদের জমিদারির অর্থে পশ্চিম বাংলায় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ১৯৫০ শালে, ওয়েস্ট পাকিস্তান একুইজিশান এবং টেনাসি এক্ট এর মাধ্যমে জমিদারি প্রথার বিলুপ্তি ঘটানো হয়। এই এক্ট এর আয়তায় এ একজন মানুষ সর্বোচ্চ কি পরিমাণ জমি ভোগ করতে পারবেন তা সীমাবদ্ধ করা হয়। এই আইনের পর, বাকি যারা জমিদার ছিল তারাও দেশ ত্যাগ করেন। এবং তাদের ফেলে যাওয়া জমি গুলো, তত কালীন এলিট শ্রেণীরা নিজেরা বণ্টন করে নেয়। কিন্তু অনেক বড় আকারের জমিদারির প্রথা ঐ আইনের পর পাকাপাকি ভাবে, এই দেশ থেকে দুর হয়।
এর ফলে ইস্ট পাকিস্তান বা বঙ্গের সব চেয়ে ধনিক শ্রেণী টার, সম্পদ সীমাবদ্ধ হয়ে আসে। যার ফলে,ক্যাপিটাল একুমুলেশানের এক মাত্র রাস্তা যেটা এই অঞ্চলের কিছু ধনিক শ্রেণীর ছিল তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পূর্ব বঙ্গের ধনিক শ্রেণীর হাত ধরে এর পরের ২০ বছর তেমন কোন ইন্দাস্ত্রিয়ালিযেশান হয়নি।
এর ফলে পশ্চিম পাকিস্তানী ব্যবসায়ীরা দ্রুত ব্যবসার সকল সুযোগ গুলো দখল করে। ব্যাঙ্ক গুলো ছিল তাদের দখলে। পূর্ব বঙ্গের বাঙ্গালিদের হাত কোন ক্যাপিটাল ছিলনা। সে সময় ২২ টি পরিবার এর হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল ব্যাংক, সহ সব বড় প্রতিষ্ঠান যার মধ্যে মাত্র দুই জন ছিল বাঙ্গালি। ফলে যতই দিন যেতে লাগলো, ব্যবসা বাণিজ্যে পাকিস্তানিদের দখল বারতে লাগলো। পাট এর বড় কেন্দ্র ছিল নারায়ণগঞ্জে । আদমজী হাজী দাউদ নামক এক ব্যবসায়ী ব্যবসার ৮০% নিয়ন্ত্রণ করতেন। ইস্পাহানী টি এস্টেট সহ আরও বিবিধ প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করতো। এখনো বাংলাদেশে ইস্পাহানী গ্রুপ সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্মি আর রেলওয়ের পর সরবোচ্চ পরিমাণ ভূমি সম্পদ অওন করে। আবার বাংলাদেশ থেকে সম্পদ নিয়ে গড়া তলা হয়, পাকিস্তান এ ইসলামাবাদ নামে একটা সম্পূর্ণ নতুন রাজধানী। ১৯৬৬ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের গ্রোথ রেট ছিল ৪.৪ পূর্ব পাকিস্তানের ছিল ২.২ ।
এ ছাড়া সরকারি চাকুরী, আর্মি, পুলিশ সব কিছু তেই বাঙ্গালি দের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ বহাল থাকে পুরো পাকিস্তান আমল ধরে। ফলে এই জেনারেশনের খুব সীমিত অংশ চাকুরীর সুযোগ পায়।
ফলে এই সময় এর অর্থনৈতিক আলোচনা করলে দেখা যায়। এক দিকে ট্রেডিং ছিল, মাড়োয়াড়ি আর গুজরাটিদের হাতে , চাকুরী ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী দের হাত এ।ফলে এই জেনারেশন টা সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। একটা সুনির্দিষ্ট এলিট ক্লাস ছাড়া মধ্যবিত্তের সংখ্যা ছিল খুব কম। নিম্ন বিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে এমন জনগোষ্ঠী ছিল আরো কম।
এই পুরো পিরিয়ড ধরে পুরো জনগোষ্ঠী এই বৈষম্যের মুখে পরে বঞ্চিত হতে থাকে। যে শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের জন্যে একটা রাষ্ট্র গড়ে তলা ছিল স্বাধীনতার একটা অন্যতম চেতনা।
আমার গল্প ফুরিয়েছে কিন্তু নোট গাছ ফুরায় নি। পরবর্তী লেখা গুলো তে আসবে, মুক্তিযোদ্ধা জেনারেশান, প্রজন্ম একাত্তুর ও মিলেনিয়াম প্রজন্ম। কথা দিচ্ছি ঐ লেখা গুলো এইটার মত বোরিং হবেনা। এবং ইতিহাস ও রাজনীতির কচকচানি, কম থাকবে, বলতে গেলে থাকবেই না। জাস্ট রেফারেন্স হিসেবে আসবে।
সবাই পড়বেন এই আশায়।
Epic Kechal: Read the Other Parts
Great to see Part 4 from Zia Hassan. But I think this time the analysis is a bit more blunt than other installments. Between Gen 71 and Doraemon Gen are many intermediate half gens which are not here. I suppose the limits of this type of grand narratives become more apparent in this installment.
Firstly, it’s a blog post, not a PhD thesis! Secondly, the writer hasn’t tackled post-71 period, so is it fair to criticise the lack of nuance?
These should have had a list of reference once the facts are written. Should have gone further back, should have touched upon the socio, political, religious n economical state of the populace at the time when the British took over from Nabab Siraz and also the time during which Bakhtiar came with 17 horsemen only. Though time goes a thousand years but u need to go further more to understand the present. As many great people understood that ” oitihashik o shamajik ghotona poroshpor krome eki shutre badha, Poroshpor poroshporke onushoron kore choleche, mone hoi jeno otiter shonge bortoman, o bortomaner sathe vhoboshhot obichhaddo vabe srinkholito”. Still, good effort, eto tukui ba ke lekhe ajkal.
dear mhamid. The first part of this blog is based on historical references of standard knowledge, which are available in wiki,in our text books and historical books. None of those are controversial and historians unanimously agree. The issue is on the second part which is actually interpretation or observation of the writer.
I agree with you that, this could have gone farther. As a matter of fact before the first edit, I started from the point of 1857, the time of sipahi biplob, when muslim soldier mainly originating from Bengal carried out mutiny, which led to a subsequent misstrust on bengal muslims by the British rulers. I felt that, that is a good start point. But, for keeping the article short I discarded that part.
Thanks for your minute reading. That is highly encouraging.