To BGMEA: How To Maintain Bangladesh’s Shining Image Abroad in Five Easy Steps
Guest Post by Shabnam Nadiya
1. Stop thinking that ‘compliance’ is a word to keep international buyers happy and begin to understand that it has to do with the safety of people. People like you and me. People whose labor creates that shining Bangladesh in the first place. People whose actual labor builds your fortunes.
2 Stop shielding your members when these RMG owners build or rent deathtraps for factories; when they create a working environment where workers can get fired whenever, get paid whenever, get pay docked whenever; when RMG owners’ negligence result in loss of lives. Take an active role in ensuring that your member RMG owners are compliant.
3. Stop thinking the workers are out to get the RMG owners. They’re not. They’re happy if RMG owners have good business because that way they have work. RMG owners should make sure that the workers are content because their profits depend on them. Not all protesters are ‘paid troublemakers.’ Learn to listen.
4. Stop shifting the blame when a tragedy happens.Learn to look at it in the face: instead of pointing fingers at the buyers, the media, the government, the workers (!), say we, as the association for RMG owners,understand that this is why this tragedy happened, and this is how we’ll make sure this never ever happens again. To anyone. Not on our watch. And make sure you follow through.
5. Behave like human beings, with human decency. It isn’t that hard. It might cost you a little bit in profits initially. But you guys are good with money. You’ll still have enough. You’ll survive.
Shabnam Nadiya is a writer and translator. She has an MFA from Iowa Writers’ Workshop where she is currently a Schulze Fellow. She is working on her collection of linked stories titled Pariah Dog.
Notes:
This post was written in response to the BGMEA’s statement yesterday that showing media images of the tragedy will “ruin country’s image.” BGMEA Chairman Atiqul Islam says that the media is sullying the bhabmurti of the nation by their constant coverage of the Rana Plaza Collapse. PM’s Advisor on Public Administration, HT Imam agreed and opined that showing gory images had a negative impact on people and was not good.
BGMEA: If you keep showing this in media, our country’s image will be ruinedhttp://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-27/news/348158
Tragedy exaggerated?: Garment-makers blame media

“Amend the labour law and impose fine of 20 lac when a worker dies and 10 lac when a worker is disabled due to owners negligence. Since the owners knows only profit (and fails to show any compassion or realization) they will calculate and find it profitable to care for workers.” – Asif Nazrul
this is a great note of warning to bgmea.
Agree – but there needs to be equal pressure on the labels, the names – those CEO s blagging CSR – For instance, look at Primarks site and their ethical trading page : ”As an international brand with a global supply chain, we have a responsibility to act ethically and we embrace this responsibility as an opportunity to be a great force for good. Primark is committed to providing the best possible value for our customers, but not at the expense of the people who make our products.” http://www.primark-ethicaltrading.co.uk/how_we_work they should be held on their various claims in practice and membership of several ethical working practices.
Katherine has won an award in ”Ethical Sourcing” – What does the Ethical Trade Director have to say? Are they going to shirk responsibility like Walmart? Along with putting pressure on BGMEA these companies need to be pressured in the western world
The actual owners of the three garments factories which where housed in the building: why have they not been personally named, arrested or charged? The BGMEA have kicked the three companies out of the association, and that seems to be it from their end. Has any garment factory owner, those actually hold the manufacturing licenses been charged for malpractice? It seems hey are shifting the blame onto their executives (or are the owners themselves the executives?). Not sure this has been made clear.
There would be no denying of the fact that BGMEA could perhaps play some role in stopping this catastrophe form happening. However, one has to look into the Savar incidence more carefully. Because this is not just a typical case of profit maximising establishment. The owner of the building was a ruling party activist/leader who felt obliged to get the factory in his premise running in the midst of hartal. In my view the incidence in Savar is a result of undue mingling of politics and production/business. I have tried to explain it in a bengali post here.
http://kathakata.com/archives/546
সাভার বিপর্যয় প্রসঙ্গ -উৎপাদন ব্যবস্থার দলিয়করন নাকি রাজনীতির বানিজ্যিকিকরন?
লিখেছেন: রিয়াজ উদ্দীন | এপ্রিল ২৭, ২০১৩ | বিভাগ: অর্থনীতি ও উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা, গনতন্ত্র, অধিকার ও আইন, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সরকার ব্যবস্থাপনা
“রানা-প্লাজা”-তে কী ঘটল? কেন ঘটল? ঘটনাস্থলের আলামত ও পারিপার্শ্বিকতা নির্ভর উত্তরের বাইরে এসে বিষয়টিকে বৃহত্তর ফ্রেমে রেখে আলোচনা করা দরকার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ের বড় বড় বিপর্যয়গুলির মধ্যে কিছুক্ষেত্রে লক্ষনীয় মিল রয়েছে। ফলে বলা যায় রানা-প্লাজার ঘটনাটি কোন “বিচ্ছিন্ন ঘটনা” নয়, বরং একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়ার অংশ। বিনিয়োগ এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রণোদনা-ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়ছে বলেই এমনটা হচ্ছে যেটা এই আলোচনায় দেখানর চেষ্টা করব। সেজন্য এখানে সাভারের ঘটনাটির একটি কাঠামোগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ উপস্থাপন করব। দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে বিনিয়োগকারি-ব্যবসায়ি এবং রাজনীতিবিদদের সংশ্রবের প্রকৃতি কেমন হওয়া দরকার তা নিয়ে আলোচনা তেমন হয়না। আর এনিয়ে সুস্পষ্ট নাগরিক-ঐক্যমত্যও নেই। ফলে রাজনীতি এবং ব্যবসায়িদের মধ্যে অন্যায্য সংশ্রবের দরুন সাভারের মারাত্মক বিপর্যয়টি ঘটেছে।
বাজার আশ্রয়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সফল হবার লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন পেশাজীবি গোষ্ঠীর কার্যপরিধির সীমারেখা সুনির্ধারিত থাকা প্রয়োজন। এই সীমারেখা লংঘিত হবার অনেক আলামত সাভারের ঘটনায় উপস্থিত। পেশাজীবি এবং ক্রিয়াশীল গোষ্ঠীদের ভূমিকাগুলোও আজকাল তাদের কাংখিত এখতিয়ারের বাইরে চলে যাচ্ছে, ফলে শক্তিশালিরা সহজেই পার পেয়ে যেতে পারছে এবং কোন অঘটনের জন্য আসলে কোন পক্ষ দায়ি সেটা নিয়েও জনমনে সঠিক ধারনা তৈরি হতে পারছে না। এটা ভাল লক্ষণ নয়। প্রথমেই তিনটি ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেই। (১) সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতের প্রকাশ পাওয়া বড় বড় কেলেঙ্কারি এবং সেগুলোর গুরুত্বকে খাটো করার উপর্যুপরি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। এই ঘটনা এখনো আমাদের মনে আছে। (২) সাভারের ঘটনার দিন সকালে ভবনের ভেতর ভবন-মালিক রানার তত্ত্বাবধানে হরতাল -বিরোধী সভা হয়েছে। হরতাল যদিও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যহত করে, তবু পেশাদার ব্যবসায়ির প্রতিবাদের ধরন এরকম হয়না। ভবন মালিকের আচরনে একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার চেষ্টা বেশ প্রকট ছিল। (৩) পদ্মাসেতুর ঘটনাতেও রাজনীতিতে ব্যবসায়িদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের স্মারক বহন করে। যেখানে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমান সময়ে এই তিনটি ঘটনার তাৎপর্য এবং যোগসূত্রকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
অর্থখাতের প্রসঙ্গটি বিবেচনা আনলে প্রশ্ন আসতে পারে, ব্যবসায়িরা রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেন নাকি তার উল্টোটাই বেশি সত্যি? বলা কঠিন। কিন্তু এদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াটি আর্থিক খাতের বিপর্যয়ের কারনে বেশ গোলমেলে হয়ে উঠেছে বলে আশঙ্কা করা যেতে পারে। মাত্রা বিবেচনা করলে এই দুর্নীতি নজিরবিহীন। এটাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে সাংবাদিকতা, রাজনীতি, জনমত, রাজনৈতিক অর্থনীতি কোন ছবিই সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। সামষ্টিক ভাবে অর্থখাতের প্রায় একচতুর্থাংশ অনিয়মের হিসাবে চলে যাওয়া সত্ত্বেও বরাবর সেগুলোকে ছোটখাটো ব্যপার হিসাবে দেখানোর চেষ্টা ছিল রাষ্ট্রের। কেন? অনিচ্ছাকৃত ভুল? তাহলেত খবর সামনে আসলে রাষ্ট্র দ্রুত ব্যবস্থা নিত। কিন্তু কার্যত উল্টোটাই হতে দেখেছি আমরা। অনিচ্ছাকৃত না হলে রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী? নিয়ন্ত্রনে যেহেতু রাষ্ট্র কাজেই এই দুর্নীতিতে কার ক্ষমতায়ন ঘটালো? পেশাদারিত্বের ওপর এই ঘটনার প্রভাব কী হবে? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে একবিন্দুর অদক্ষতা নানাবিন্দুতে ছড়িয়ে পড়ে। সেই প্রক্রিয়াটির বাস্তব রূপই বাংলাদেশের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে সাভারের ঘটনাতে।
রানা-প্লাজার ঘটনার পরবর্তি বিশ্লেষণে এবং সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, হরতালের দিনেও কাজ হচ্ছে এটা প্রমান করার দায় ছিল ভবন মালিকের। সম্ভবত গার্মেন্টস মালিকদের ব্যাপারও একই। ফলে আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা যাওয়া সত্ত্বেও জোর করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। সাধারনভাবে আমরা এই ক্ষেত্রে মুনাফার লোভকেই প্রধান কারন মনে করি। কিন্তু রানার রাজনৈতিক পরিচয় এবং কার্যকলাপের দরুন এই ক্ষেত্রে একটা বাড়তি মাত্রা যুক্ত হয়েছে। হরতালবিরোধী মিছিল পরিচালনার জন্য ঘটনার দিন সকালে সভা হয় রানা-প্লাজায়, প্রত্রিকা থেকে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীয় ঝাকিতত্ত্বও তার সাথে যোগ করুন। যদি কারখানা এবং ভবন মালিকদের বাঁচানোর দায় সরকারের না থাকত তাহলে বোঝা যেত এখানে ব্যবসায়িরা মুনাফার জন্যই কাজটি করছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের মুখপাত্রদের ভুমিকাগুলো সেখানে নতুন প্রশ্ন যোগ করছে। অপরাধীদের বাঁচানোর দায়-দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিচ্ছে রাষ্ট্র?
আর জ্বলন্ত একটা অভিজ্ঞতা হিসাবে পদ্মাসেতু উপাখ্যানতো রয়েছেই। ঘটনার কেন্দ্রে থাকা একজন ব্যবসায়ি-রাজনীতিবিদ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছেন। আর সেটার মাশুল বাংলাদেশের মানুষকে গুনতে হয়েছে। সেই তাঁর “মান” বাঁচানো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে পদ্মাসেতুকে জলাঞ্জলি দিতেও রাষ্ট্র পিছপা হল না। কেন? ব্যবসায়িদের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর এই সম্পর্কের সাম্প্রতিক কালে একটু নতুন মাত্রা নিচ্ছে। আর সেটা ক্ষতি বয়ে আনছে দেশের মানুষের জন্য। শেয়ার বাজারের ঘটনা, তাজরিন গার্মেন্টস — এমন অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে রাজনীতি এবং ব্যবসার যোগসূত্র দেখা যাবে। যেখানে ব্যবসার সাথে রাজনীতি মিশেছে সেখানে পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্ববোধ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হবারই কথা।
একই রকম আরো অনেক ঘটনাকে হয়ত তালিকায় আনা যাবে। তবে বাজার ব্যবস্থায় ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে যেই প্রবনতা দিনকে দিন জোরালো ভাবে সামনে আসছে তা এই তিনটি উদাহরনের মাধ্যমেই স্পষ্ট করা সম্ভব। যত চেষ্টাই করা হোক রানা-প্লাজা, পদ্মাসেতু এবং আর্থিক-কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো থেকে রাজনীতির যোগসূত্র এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। একজন ব্যবসায়ি জানেন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে টিকে থাকাটা তার জন্য কত কঠিন। কিন্তু যখনই তারা রাজনৈতিক শক্তির আশির্বাদ পাবার খেলায় নামেন এবং পেয়ে যান তখন তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তখন দক্ষ ব্যবসায়ির হবার চাইতে রাজনৈতিক দলকে খুশি করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। আর অন্যদিকে রাজনৈতিক দল এবং রাষ্ট্রের আপাত-ব্যাখ্যাহীন কাজগুলো সহজেই ব্যখ্যা করা যায় যখন আমরা এগুলোকে ভোটের রাজনীতির বাস্তবতা দিয়ে দেখি। যে দলই ক্ষমতায় যায় তাদের যাবতিয় আচরনের পেছনে থাকে ক্ষমতায় থাকার লাগামহীন চেষ্টা। আর বিরোধী দলও ক্ষমতায় আসা ছাড়া অন্যকোন বিষয়ে গুরুত্ব দেয়না। ফলে ভোটের রাজনীতির “রুল-অব-গেইম” তাদের আচরনকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোষাক। সস্তা শ্রমের পাশাপাশি এই বিষয়টিতে উদ্যোক্তাদের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তাদের সমিতিগুলোর চাপেই আস্তে আস্তে বাংলাদেশে তৈরি পোষাকশিল্প প্রসারিত হয়েছে। ব্যবসার পরিবেশ অনেকটা উন্নত হয়েছে। বিশ্বায়নের ফলে প্রতিযোগিতার প্রয়োজনে যেসব দেশ বানিজ্য উদারিকরনের পথে হেটেছে তাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সূচিত হয়েছে। তবে সাভারের মত ঘটনাগুলোতে উদ্যোক্তাদেরকে “একমাত্র এবং প্রধান প্রতিপক্ষ” বানানোর আগে ভাবার প্রয়োজন আছে তারা কি ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক এবং আচরনিয় কাঠামোর ভেতরে থেকে কাজ করে। পেশাদার ব্যবসায়ি এবং আশির্বাদপুষ্ট ব্যবসায়িদের আলাদা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সফল উদ্যোক্তারা পেশাজীবি এবং তাদের কাছে পেশাদার আচরনই আশা করা যায়। কিন্তু তাদের জগতেও প্রতিদ্বন্দী রয়েছেন অবশ্যই। সেখানে তাদের দরকার হয় ঋন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা আর সেজন্যে তাদেরকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। যখন রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন কোন পেশায় সাফল্যের মাপকাঠি হয় তখন কিন্তু সেখানে পেশাদারি আচরন টিকতে পারেনা। এক্ষেত্রে দলিয় রাজনীতি যদি ক্ষমতাশালী হয়ে [অর্থকান্ড দ্রষ্টব্য] এদের নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে তখন পেশাদারিত্বের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে দলকে খুশি করার দায়। তখন সব পেশাতেই অদক্ষতা পুরষ্কৃত হয়। সাভারের ঘটনাকে এইবিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা কঠিন। ফলে বিদ্যমান প্রণোদনা-ব্যবস্থা সম্পর্কে সাভারের ঘটনা আমাদের কী বার্তা দেয় সেটা লক্ষ্য করা দরকার। আর ব্যবসায়ি এবং রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বের সীমারেখাটা কোথায় যাবে সেটাও বাংলদেশে অমীমাংসিত একটি প্রশ্ন।
ব্যবসায়িরা মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। আর অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকাও নির্ধারিত হয় মুনাফাঘটিত প্রণোদনা থেকেই। এখানে সরকারের ভূমিকা হবে তাদেরকে ব্যবসার উপযোগি পরিবেশ তৈরি করে দেয়া, যেখানে দক্ষতা পুরষ্কৃত হবে। গড়ে উঠবে সুস্থ প্রণোদনা কাঠামো, যেখানে দুর্বলের অধিকারও সংরক্ষিত হবে। একমাত্র ঐ ধরনের পরিবেশেই পেশাদারি আচরন তৈরি হতে পারে। কিন্তু উপরে যেই ঘটনাগুলো আমরা দেখছি সেখানে আমরা তেমন লক্ষণ খুঁজে পাইনা। প্রথম ঘটনাতে আমরা দেখেছি – বিরাট অঙ্কের টাকা অর্থব্যবস্থা থেকে “অজানা-অচেনা” কাউকে দেয়া হচ্ছে। অনিয়মের কারনে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি সেগুলো দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয়নি। ফলে সবচাইতে দক্ষ, পরিশ্রমী এবং উপযুক্ত বিনিয়োগকারির হাতে সেটা পৌছাবেনা। কাজেই অর্থব্যবস্থার অনিয়ম এবং অদক্ষতা কেবল অর্থব্যবস্থার ভেতর সীমাবদ্ধ থাকছেনা, এমনটা জোর দিয়ে বলা যায়। কারন বাজার-ব্যবস্থায় পুঁজির ওপর নিয়ন্ত্রনটাই শক্তির সবচাইতে বড় উৎস্য। রানা-প্লাজার ঘটনাটি বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পের জন্য মঙ্গল জনক নয়। এমনটা নিরাপদে ভাবা যায়। এটার ফলাফল নিয়ে বনিকেরাই বিচলিত হবেন অনুমান করি। পদ্মাসেতুর ঘটনাটি আপাত বিচ্ছিন্ন হলেও একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা অর্থনীতিতে ব্যবসায়িদের গুরুত্বকে উপলব্ধি করেই ভোট এবং জনমতে অর্থের জোগান নিশ্চিত রাখার স্বার্থেই ব্যবসা এবং রাজনীতির মধ্যকার রেখাটি আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে দেশের স্বার্থ মারাত্মক ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
রাজনীতি এবং উৎপাদনের সংশ্রবের বিষয়টি উদ্বেগের। এই অন্যায় সংশ্রবের বিষক্রিয়ার পরিনতিতেই সাভারের ঘটনা। অর্থব্যবস্থার ক্ষেত্রে দক্ষতা ভিত্তিক পুঁজি ব্যবস্থাপনা বাজার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। আর ব্যবসায়িদের পেশাজীবি সংগঠন গুলোর সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্কের রূপরেখা কেমন হবে তার ওপরও রাষ্ট্রের এবং তার নাগরিকে ভালমন্দ অনেকাংশে নির্ভর করে। আর নির্ভর করে শ্রমজীবি মানুষের ভাগ্য। ফলে কাংখিত রূপরেখা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আয়ের বৈধ ব্যবস্থা কি হবে এ সম্পর্কে স্পষ্ট নাগরিক অবস্থান এখনি গড়ে তোলা দরকার। প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়ার স্বার্থে আমাদের জানতে হবে কোন পরিবর্তনটা এই ধরনের অনাকাংখিত ব্যপারগুলো এড়াতে কার্যকর হতে পারে। এই লেখাটিতে বিদ্যমান অবস্থার এবং প্রবনতার কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। বাজার ব্যবস্থার বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে “গরিবের স্বার্থ রক্ষা” সম্ভব নয়। কাজেই বাজার ব্যবস্থার সাথে রাজনীতি এবং রাষ্ট্রীর প্রতিষ্ঠানের বোঝা-পরার ক্ষেত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা দরকার আছে। যত দ্রুত এই বিষয়ে সর্বস্তরে একটা নাগরিক ঐক্যমত্য তৈরি করা যায় ততই মঙ্গল। না হলে যা হবার তাই হবে, কোন একটি দল ক্ষমতায় থাকাকালীন কোণ খারাপ নজির তৈরি করলে পরবর্তিতে অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসলে সেটাকেই অনুসরন করতে থাকবে, বাড়তি উদ্যমে। যত সময় পেরিয়ে যাবে ধারাটিকে বিপরীতমুখি করা ততই কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা তখন সেটি রাজনীতি ও ব্যবসার “মোডাস অপারেন্ডি”-তে পরিনত হবে।
Written by রিয়াজ উদ্দীন
রিয়াজ উদ্দীন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে পিএইচডি গবেষক। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনার ওপর স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করেন। পরবর্তিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ, উন্নয়ন সমন্বয়ে, পরিকল্পনা কমিশন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কাজ করেন। তার গবেষনার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অঞ্চল পরিকল্পনা, আঞ্চলিক অর্থনীতি, নয়া প্রতিষ্ঠানবাদ, নগর অর্থনীতি, পরিকল্পনা তত্ত্ব এবং পরিবহন অর্থনীতি।
Would you be interested to submit an English version of this essay to our blog?
I have been thinking of translating the post in English — if I manage to do so I will try to post it here. Thanks for the suggestion.
Any update on the translation? It’s a crucial piece and deserves wider circulation.
When I see a garment worker going to the job with some of their co-workers, I always see the real time struggle of the peasant’s girl, too poor to not work, gloom surrounded in the faces, and these tells me the severity of the situation she is facing. But they are from the lows of this society purportedly created to suck out the life out of these type of workers. If you employ someone, you must take responsibility for their well being and that is what plain ethic is to me. Why is not there a rule to facilitate the living conditions of the worker? If the Government was pro-people, it must have thought about the segments of the society and halted any underdevelopment.