by Zia Hassan, translated by AlalODulal.org
Those who want to float a party for the common people, who dream of rescuing Bangladesh from the two predators, must not only take away the name of Kejriwal’s Aam Aadmi Party. They must also learn from their 20 year-old activism. Kejriwal left his job and fought for people’s rights in Delhi for 15 years. He received the Magsaysay award as recognition of his contributions. Kejriwal did not become Kejriwal in one day.
Yes. One must start. So I do not want to judge anyone for starting. But let’s be very clear. There is no benefit in the top-down approach; change has to come from the bottom up and one must work their way up. One must have the patience, mentality, honesty, and camaraderie for that.
We Bangladeshis have seen so much dishonesty and crime in the name of politics that we are naturally inclined to distrust. Our trust cannot be gained through press conferences or Facebook posts. You have to win us over with actions.
Bangladesh does not need an Aam Janata Party. It needs a grassroots party that can organize citizens and fight for their rights within existing social spaces. There is plenty of room here for that.
—
আমজনতার জন্যে যারা দল করতে চান, দুই শকুনির খপ্পর থেকে দেশকে বের করে নিয়া আসার স্বপ্ন দেখেন তাদের শুধু কেজরিওয়ালের আমআদমি থেকে অনুবাদ করে আমজনতা পার্টি করা নয় বরং তার বিগত ২০ বছরের একটিভিজমটাকেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনুবাদ করতে হবে।
এই লোক চাকরি ছেড়ে, দিল্লিতে ১৫ বছর ধরে নাগরিক অধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন।২০০৬ সালে মাগসেসাই পুরস্কার পেয়েছিলেন তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। কেজরিওয়াল এক দিনে কেজরিওয়াল হয় নাই।
এবং একটা জিনিষ খেয়াল করতে হবে। বাংলাদেশে কোন পারটি করতে হলে, পরিক্ষিত বামজনতা যারা সেম ঘরানায় প্রায় ৪০ বছরে ধরে শিকে ছিঁড়তে পারেন না নাই -তাদের দিয়ে হওয়ার চান্স খুব কম। এইটার কারন আনালিসিস অনেক লম্বা কাহানী। যদিও সততা থাকলে চেষ্টা করতে কোন দোষ নাই। বামজনতার যদি হয়ে থাকে, চামজনতার কোন চান্স নাই। এই চাম জনতা হইলো, সুশিল সমাজ যারা কিছু পপুলার ইস্যু তে কিছু দিন পরে পরেই খণ্ডিত ভাবে নিজের বিবেক প্রয়োগ করেন।
হ্যা। ঠিক। শুরু করতেই হবে। শুরু না করলে শুরু হয় না। তাই শুরু করার জন্যে কাওকে নিন্দুকের মত সমালোচনা করতে চাইনা। কিন্তু, লেটস বি ভেরি ক্লিয়ার। টপ ডাউন এপ্রচে কোন ফায়দা নাই , আসতে হবে বটম আপ হয়ে।
নিচে থেকে কাজ করে উপরে উঠে আসতে হবে। সেইটা করার মত ধৈর্য , মানসিকতা , সততা এবং আন্তরিকতা থাকতে হবে। উপর থেকে সংবাদ সম্মেলনে ডিকলেয়ার দিয়ে আসলে হবেনা।
আমরা ঘর পোড়া গরু। রাজনীতির নামে এত বেশি অসতততা এবং ভণ্ডামি আমরা দেখেছি যে, আমরা প্রথমেই অবিশ্বাস দিয়ে শুরু করি। ফলে, আমাদের বিশ্বাস আনতে হলে, সংবাদ সম্মেলন বা ফেসবুক পেজ দিয়ে হবেনা। কাজ করে দেখাতে হবে।
বাংলাদেশের জন্যে আমজনতা পার্টি নয় বরং দরকার গ্রাসরুট বা ঘাসমূলের পার্টি যে নাগরিকদেরকে অরগানাইজ করে সোসাল স্পেসে নাগরিক সমাজের ছোট ছোট অধিকার এবং প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে কাজ করবে। । এই খানে অনেক জায়গা পরে আছে।
গতকাল একটা ওয়েব সাইট দেখলাম যেইটায় বিভিন্য অঞ্চলের সমস্যা গুলোর নাগরিক সমস্যা গুলোর অভিযোগ করা যায়। সুন্দর সাইট। যাক, অবশেষে কেও করেছে, বলে অত্যন্ত খুশি হয়ে কে করেছে সেইটা চেক করলাম –দেখলাম সেইটা একটা জাতিসঙ্ঘের ফান্ড করা এনজিও প্রজেক্ট। খুব দুখ লাগলো দেখে যে,এই ধরনের একটা অবভিয়াস প্রজেক্টও এনজিওদের করে দিতে হইলো । এবং আমাদের দেশে পয়সা কামানর ধান্দা বাদে কেউ প্রকৃত সময় দিয়ে সোসিয়াল বা সিটিযেন একটিভিজ করতে রাজি না। ফলে, এনজিও ভরসা।
আমজনতার পার্টি যারা করতে চান, তাদের জন্যে এইটা একটা বড় সুযোগ। এই লাইন গুলো ধরেন । নাগরিক অধিকার রক্ষায় এবং সামাজিক অবিচার প্রতিরোধের জায়গায় এত কম এক্টিভিজম হয়েছে যে এখনও অনেক অল্প কাজে সহজে মেডিয়া ও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব।
সেই খান থেকে শুরু করেন, সাফল্য পাবেন।
টপ ডাউন এপ্রচে কোন লাভ হবেনা, সিরিয়াস যদি হয়ে থাকেন তো অবশ্যিই বটম আপ আগাতে হবে এবং কাজ করে, খাইট্টা খুইট্ট পরিবর্তন এনে সামনে আসতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ডিকলেয়ার করে বা ফেসবুক পেজ দিয়ে নয় ।
এইটার একটা তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাও আছে। এক ফ্রেঞ্চ সসিয়লজিস্ট তার নামেই ডুভারজার ল নামে এক প্রাকৃতিক আইন দিয়া গ্যাছে যার থেকে বের হওয়া যে কোন টপ ডাউন রাজনৈতিক দলের জন্যে কঠিন । এই ল টা বলে, যে প্লুরালিস্ট গণতন্ত্রে মানে যেই সব গনতন্ত্রে যে সবচেয়ে বেশি ভোট যে পায়, সে ক্ষমতায় যায়- মানে যেই ভোট সিস্টেমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হয় না সেই সব দেশে দুইটা মাত্র পারটি ক্ষমতার পালাবদল করে। বাংলাদেশে যেই রকম আওয়ামী লিগ- বিএনপি, পাকিস্তানে যেমন পিপিপি আর মুসলিম লিগ, ব্রিটেনে যেমন লেবার আর কনজারভেটিভ, আমেরিকাতে যেমন ডেমোক্রেট রিপাবলিক। ডুভারজার সাহেবে এইটা বলছে যে, এইটার কারণে হইলো, দুইটা বিরুদ্ধ মত যখন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তখন মানুষ চিন্তা করে সে যদি তার বিরোধী মতকে নামিয়ে নিজের মতের দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় তাহলে ,তার মতালম্বি যেই দলটির ক্ষমতায় যাওয়ার চান্স সবচেয়ে বেশি তাকে যদি সে ভোট না দেয় তাহলে ভোটটা মাইর যাবে – তাই সে ছোট ছোট দল গুলোকে ভোট না দিয়ে তার আদর্শিক সব চেয়ে শক্তিশালী দলটাকেই ভোট দেয়।
এই ল থেকেও তাত্ত্বিকেরা এই ব্যাখ্যা বের করছেন যে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল, তারা যতই অনইতিক এবন্দ দুরনিতিবাজ হোক তাদের বিপক্ষে আর একটা রাজনইতিক দল গঠন করে দাড়া করা দিলেই হয় না। এমনকি আপাত দৃষ্টিতে কিছু জনপ্রিয়তা অর্জন করলেই সেই প্রজেক্ট ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়।
তাই এক মাত্র ভরসা নিচ থেকে কাজ করে নিজের সাপোর্ট বেজ তৈরি করে সামনে আসা। কেজ্রিওয়াল সেই ভাবেই করেছেন এবং আজ যারা আমজনতা পার্টি দাড়া করাচ্ছেন এক টা অল্টারনেটিভ প্লাটফরম দাড়া করানর স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকে এই পথেই আগাতে হবে।
যদি কেও আসলেই এই লুটেরা তন্ত্রে বিরুদ্ধে সিরিয়াস হয় তবে এই রাস্তায় হাঁটার আর কোন বিকল্প নাই।
Many would-be Kejriwals exist today in Bangladesh, who keep themselves in low profile to avoid persecution and oppression from the “ruling party” of the day. Many potential Kejriwals have been hunted down and made to disappear, so that they cannot voice their outrage against political hypocrisy. These BD Kejriwals are not Facebook politicians either, they are veteran pillars of human development – not the ‘digital’ bionic bongojunk type either, they are the life and soul of the people.
And when people’s tolerance goes beyond limit due to political fallacy and fraud, then Kejriwals will surface to wipe out malarkey and tyranny. That’s when history repeats itself, and same will happen in Bangladesh.