ফিরোজ আহমেদ: সুমন চাটুয্যের একঘেয়ে সুর…

Kabir Suman
From Kabir Suman’s Facebook post [Awrup Sanyal]

ফিরোজ আহমেদ – আলাল ও দুলাল এর জন্যে 

সুমন চট্টপাধ্যায়ের সাথে পরিচয়টা ভোলা কঠিন। আমাদের নব্বই এর দশকের প্রথম তারুণ্যের অনেকটাই তার একচেটিয়া অধিকারে।

সেদিনই প্রথম শ্মশ্রুমোক্ষণ, নরসুন্দরের নামও মনে আছে, বিধান। কলাবাগানে খালেদ মোশারফের ঠিক পাশের বাড়িটায় দোকান ফুরে বেড় হওয়া নারকেল গাছটার কথাও মনে করতে পারি। কিন্তু সালগুলো একটার সাথে আরেকটা লেপটে গেছে এমন ভাবে, ওই সালটাকে হাতড়ে পৃথক করা যায় না। আমি তখন নাপিতের ক্ষুরের নিচে, তখনকার পাড়াতো রীতি অনুসারেই নাপিতের দোকানে তুমুল হৈ হল্লা চলছে বাকি বন্ধুদের, এমনই সময়ে গানটা বেজে উঠলো: সব্ আমাদের জন্য।

কী এক ভাঙচুর! মনে মনে কলকাতা নগরের বদলে ঢাকার নাম বসিয়ে সেই গানটা আমাদের নব্বই এর তরুণদের নাগরিক উদযাপনে পরিণত হলো।

তারপর একের পর এক সুমনের গানের সংকলন হাতে আসে আর আমরা গলা ফাটাই। আমার বড় ভাই ফরিদ সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিখে আসলেন, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে, দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরেজানতাম না কার গান, কদিন পরই দেখা গেলো এ-ও সেই সদ্য আবিষ্কৃত সুমন।

তারপর তোমাকে চাইনামের গানের তুমুল জোয়ার সুমনকে সবাকার করে দিয়েছে। গুজব শোনা গেলো, এ নাকি স্রেফ ধূম্রশলাকার বন্দনা! কেউ বিশ্বাস করলো, কেউ করলো না, কিন্তু আমার বড় বোন রূপা, ততদিনে স্নাতক সম্মান, তাকেও দেখলাম এই রহস্য নিয়ে মাথা ঘামাতে। তারপর শুনলাম, ‘প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা!অনুবাদকরাও শিক্ষা নিতে পারেন সুমনের এই সহজাত তর্জমার ক্ষমতার কাছে।

স্মৃতির সালগুলো যেমন লেপটে আছে, আগে পড়ে আর হিসেব করা মুশকিল। কিন্তু

পিচুটি চোখের কোণে দৃষ্টি বিস্মরনে মগ্ন,

বাবু হয়ে ফুটপাতে একা একা দিনে রাতে রঙ্গে

পাগল,

পাগল সাপলুডু খেলছে বিধাতার সঙ্গে।।

শোনার অনুভূতি এখনও তাজা। কি ভাবে এই বিস্মরণে আটকা পড়া মানুষটিকে নিয়ে গান বাঁধতে গিয়েও সুমন ঠিক স্মরণ করিয়ে দেন তামাদি মজুরি আর কেড়ে নেয়া রুটির কথা। শিল্পের ঘাটতি পড়েনি এক আনারও, কিন্তু মিঠে খুনসুটি ভরা মধ্যবিত্ত জীবনে অপরাধ বোধ জাগিয়ে দেয়া এই গানটা লেখা হলো এমন এক মানুষকে নিয়ে, যার জগতে যা কিছু আছে, কিছু নেই তার অনুসঙ্গে

পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধূলো, ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চাগুলৌগানটা কি আমাদের নগর জীবনের নাগরিক পরিসর নিয়ে লেখা প্রথম গান না? ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখি না তোমায়, গেয়ো সুর ভেসে আসে শহুরে হাওয়ায়গানটার মত করে আর কখনো কি ষোল আনা শহুরে জীবনের তরফ থেকে তর্পণ জানানো হয়েছে অচেনা গ্রামীন জীবনকে? ৯৩ নাকি ৯৪ সালে, হয়তো ৯৫তেই হাতে আসলো প্রাকৃতজননামের অধুনালুপ্ত এক প্রকাশনা সংস্থার হাত খানেক লম্বা কিন্তু তালুর সমানমাত্র চওড়া আজগুবি আকারের ঢ্যাঙা একখানা বই, নামটা কিন্তু পস্ট মনে পড়ে: সুমনের গান সুমনের কবিতা’! এর মাঝে অজস্র গানের কথা বলতে পারা যাবে তার, সেগুলোর পঙ্‌ক্তি ধরে ধরে এখনও কণ্ঠস্থ আছে আমাদের প্রজন্মের অনেকের। ভূপেন হাজারিকা তার আগের প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী, যার গানে পাওয়া যেতো প্রাকনাগরিক বিশালতা। সুমন হয়তো গানের জগতের প্রথম নাগরিক, কিংবা অন্যতম প্রথম নাগরিক। মহীনের ঘোড়াগুলির গান আমরা প্রথম শুনি নব্বইয়ের শেষ দিকে, যদিও তারা বহু আগের দল।

সুমনের শেষ পছন্দের গানটা জাতিস্মর’, যেটা আমরা পুরোটা মুখস্ত বলতে পারি অনেকেই। বাংলা গানে মহাকালকে ছুঁয়েছেন তিনি এই গানে। অথচ গানটা অতি আধুনিক। লোক থেকে চিরলোকে বিচরণ করে এই গান। স্থানিকতা আর আন্তর্জাতিকতা এই দুই বোধের সমন্বয় করার কঠিনতম পরীক্ষা সুমন দিয়েছেন, এবং প্রবলভাবে চিরকালের বাংলার মানুষ হয়েও প্রবলতরভাবে পৃথিবীর মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন, সে এক বিস্ময়। বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে নিষ্ঠুরতা আর আধিপত্যের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন, তাতে খুব কম ভারতীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিছক বাণিজ্যিক বিনোদনের চাহিদার বাইরে আমাদের মনকে এমন ভাবে এতটা আপন করে নিয়েছেন। জাতিস্মরের পর কোনো কোনো পঙ্‌ক্তি ভালো লেগেছে, সুমনের এমন গান অনেক। কিন্তু যে উচ্চতা তিনি ছুঁয়েছেন ওই এক গানে, তেমন শিখরে দুবার পৌঁছেছেন, এমন কে আছে জীবন্ত!

আমাদেরও বয়স বেড়েছে, কারও রুচিই স্থির থাকে না। অস্থিরতা সুমনকেও হয়তো তৃণমূলের রাজনীতিতে টেনে নিয়েছিল, কারণটা বামফ্রন্টের ভণ্ডামি। বাংলাদেশে ঠিক এমনি ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রত্যাখ্যান বহু সম্ভাবনাময় মানুষকে বিএনপির কলুষে টেনে নিয়েছিল। সুমন সেই বিরল ব্যতিক্রমদের একজন যিনি ভুল শুধরেছেন। মানুষের কাতারে থাকার মৌলিক বাসনাই তার অস্থিরতার কারণ, আমরা আজ টের পাই। তার ভুলও তাই মহত্বর হয়ে ওঠে। এরপর তিনি নামও বদলালেন, যদিও সুমন চট্টপাধ্যায় নামে যাকে ভালবাসি, কবীর সুমন নামে তাকে চিনতে এখনো্ খানিকটা সময় লাগে।

ঢাকায় আমাদের নব্বই এর শেষার্ধের রুচির একটা বৈশিষ্ট্য হয়তো কলাকৈবল্যবাদিতার একক জয়জয়কার। বড় অনুঘটক হিসেবে সম্ভবত কাজ করেছে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন। নিছক দাবি-দাওয়া পছন্দ করে না এই দশক, তাই প্রথাগত গণসংগীতের পতনও ঘটলো একই সময়ে। সুশীল সমাজের রাজনীতি আর ব্যক্তিগত অর্জনের এই যুগেও, অন্তত প্রথমার্ধে সুমন টিকে ছিলেন তার শিল্পসুষমার জোরেই, যদিও প্রবল ভাবেই তিনি রাজনৈতিক। কিন্তু জাতিস্মরের পরেকার গানগুলোতে তাকে এত বেশি দাবি-দাওয়া চাহিদা কেন্দ্রিক মনে হলো, একটা দূরত্ব তৈরি হলো। কত বছর কেটে গেলো, সুমনের নতুন গানের খবরই রাখিনি। অন্যদের কল্যাণে খবর পেয়েছি তিনি বেঁচে আছেন, কোন কোন পঙ্‌ক্তি যে ভালও লাগেনি, তাও নয়। তখনও সুমনকে যাদের পছন্দ, তাদের নিয়ে খুব সামান্য কিছুটা উপহাসও ছিল; আমাদের সময়ের সুমনকে, তার ফেলে আসা উত্তুঙ্গ মূহুর্তগুলোকে দেখেনি তারা, বেচারারা।

সময়ের বিপর্যয় বলেই এখন মনে হয় আমাদের ওই শিল্পরুচির মাতব্বরিকে। এ কি আমাদের অচেতনে সেই হীনমন্যতার প্রতিফলন নয়, যে পূর্ব ইউরোপের পতনের পর আর শিল্পের ভাষার ওপর নিজের সরাসরি অধিকার ঘোষণায় সাহসী না, যে কেবলই রুপক, প্রতীক আর উপমার আশ্রয়ে ঘুরিয়ে কথা বলাতে আগ্রহী? আমাদের কোন কোন অগ্রগণ্য লেখক তো তাদের জীবনভর দেয়া প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে গিয়ে, তাদের আত্মপ্রতিষ্ঠার সিঁড়িগুলোকে পেছনে ফেলে তার সাহিত্যের কেবল নান্দনিক পাঠের হুকুম করলেন। তাদের খোলামেলা দলবদলে আমরা নাখোশ হলেও তাদের বেশ খানিকটা ছাপ কি আমাদের ওপরও শেষ পর্যন্ত পড়েনি? নিজের মাঝে এই প্রশ্নটা বহুবার উঁকি দিয়েছে, প্রতিবার সুমন হেরেছেন, বড্ড বেশি কথা সর্বস্ব সুমন। ভাবার কিছু তাঁর মাঝে নেই হয়েছে, সেই জাতিস্মরের পর থেকে।

প্রথম একদিন খেয়াল করলাম, কফিল ভাইয়ের একটা গানের পঙ্‌ক্তি বারবার মগজ ফুড়ে আসছে উঠে মুখে। দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের পর। বাংলার আকাশে, উড়ে যাওয়া জেট জঙ্গীর দিকে ছুড়ে মারছি আ..অনুভব করলাম, আমাদের শিল্পময় কৈশোরের অবসান ঘটেছে। অনুভব করলাম, পস্টাপস্টি বলবার শক্তি। অনুভব করলাম কফিল আহমেদকে, এবং সকল ভালবাসা নিয়েও, কৈশোরের সুমনকে অতিক্রম করে পুরনো সুমনকে নতুন করে ভালবসলাম আমরা। কিন্তু তার আগেই আবেদন ফুরিয়ে অন্তরালে ঠাঁই নিয়েছেন মানুষের জন্য গান গাওয়া বহু সত্যিকারের মানুষ। রাজনীতি যেমন মানুষের থেকে দূরে সরে গেছে, খণ্ড খণ্ড হয়েছে যৌথতার শক্তি, তেমন নতুন যুগে ব্যক্তিগত অনুসন্ধান, নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা আর তারুণ্যের জোরে ঠিকে থাকতে হয়েছে তাদের, যারা আমাদের সময়ে গান বাঁধা শুরু করেছেন। মানুষের যৌথ সক্রিয়াতার জায়গাগুলো যত কমেছে, শ্রোতারাও তত খণ্ড খণ্ড হয়েছেন। তখন পর্যন্ত যে চক্রগুলোতে আমাদের ওঠাবসা, সেখানে কফিল ভাই, অরূপ রাহী আর অমল আকাশ আমাদের গানের ক্ষুধা মেটান। কিন্তু তারা কি কখনো ধারাবাহিক বড় শ্রোতা পেয়েছেন তখন? কিন্তু নতুন কিছু তো নিশ্চয়ই গড়ে উঠছে, আহুর মাজদা আর আহির মানের কুস্তি সদৃশ কিছু একটা যেমন প্রতিটা শিল্পীর মনের ভেতরে চলে প্রতি মূহুর্তে, সমাজের ভেতরেও তা চলছে অব্যাহতহয়তো, আরও একবার মানুষই শিল্পের কেন্দ্র হয়ে আসার সময় আসছে।

কাশ্মীর প্রশ্নে খুব কম মহারথী তার সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী চেহারাটা আড়ালে রাখতে পারেন। এই পরীক্ষাতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন অনেক প্রাতঃস্মরণীয়, কাশ্মীর প্রশ্ন এলেই তারা নিছক ইনডিয়ান। এখনো শুনিনি, পড়লাম সুমনের নতুন গান:

যেখানেই থাকো তুমি
শ্রীনগরে দেখা হবে
ইতিহাস তুমি বলো
স্বাধীনতা দেবে কবে।

ঝিলমের স্রোতে ভাসে
রাতের কবিতা একা
আঁধারের কবি জানে
শ্রীনগরে হবে দেখা।

ইন্‌স্যাস থেকে গুলি
আকাশে বুলেট ক্ষত
তারারা গুলির দাগ
প্রদীপ জ্বলবে যত।

কার ঘরে নিভে গেছে
প্রদীপের শিখা কবে
আফজল গুরু শোনো
শ্রীনগরে দেখা হবে।

ফাঁসিতে বুলেটে বুটে
ইতিহাস ফ্যালে পিষে
সেই ইতিহাসই বাঁচে
একা দোয়েলের শিসে।

কাশ্মীরে স্বাধীনতা
ডাকছে দোয়েল একা
গানের কসম জান
শ্রীনগরে হবে দেখা।।

 

এক বন্ধু জানালেন গানটা হয়তো আগা শহীদ আলীর একটা বিখ্যাত কবিতার অনুপ্রেরণায় লেখা। মূল কবিতাটা পড়ে মনে পড়লো আবারও সেই অসাধারণ আত্মীকরণের ক্ষমতার কথা, কাশ্মীরী কবির সেই আবারো দেখা হবার স্বপ্ন যখন সৈন্যরা নগরের চাবি ফেরত দিয়ে অন্তর্হিত হবে।, ডালিম গাছের নিচে যেখানে পাখিরা যে গান গাইবে, তাকেই বলে উঠবে, সব ক্লেশের ভার আর কবি প্রবেশ করবেন তার সর্বশেষ পৃথিবীতে। সুমন এই মহৎ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, শ্রীনগরকে নগরীটি নিয়ে গভীরতম একটি কবিতাকে সুমন প্রত্যার্পণ করেছেন শ্রীনগরকেই, বাংলা ভাষার একটি গানে। কাশ্লীরের আকুতির সাথে বাঙালী শিল্পীর এই মেলবন্ধনই আন্তর্জাতিকতা, যখন মানুষ পৃথিবীর সকল মানুষকেই ভাই হিসেবে, বোন হিসেবে চিনতে পারে।

সুমন বহু আগে কথা দিয়েছিলেন,

‘আমার জীবন থেকে উঠে আসা সুর

তোমাকে শুনিয়ে আমি যাবো বহুদূর

ফিরে আসবো আমি তোমার সুবাসে

থাকবো তোমার কাছে আর আশেপাশে
আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে

এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।“

ঠিক  তাই, এত বছর পর তার কাছে হাজির হয়ে দেখি তার সেই অবস্থানেই সুমন আমাদের চেয়ে অনেক বছর এগিয়ে ছিলেন।

সুমনের গানটা নাকি য়ুটিউবে নিষিদ্ধ, অনেক খুঁজেও গানটা পেলাম না। ফেসবুকেও তাকে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে এই গানের কল্যাণে। গানের এত শক্তি! পস্ট করে বলবার দিন কি তাহলে সমাগত। কিছুই আসে যায় না, রাজত্ব করা রাঘব বোয়ালদের মুখে কুলুপ আঁটাতে। কালই হয়তো তারা হাসির খোরাক হবে। আজকের শিল্পরীতির দাবি, আজকের ক্রোধের মুখোমুখি আমরা। নব্বই চুলোয় যাক। আমাদের অনুজ যারা, তোমাদের বাদ্যযন্ত্রে শুনতে চাই ছাত্রাবাসে নির্যাতনের কথা। সুন্দরবন নিয়ে তোমাদের গান কোই? তোমাদের মুখে শুনতে চাই এই হাস্যকর আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে উপহাস। তোমাদের সুরে বাজুক নতুন কোন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা। পিছে পড়ে থাকুক দিনের হিসেব মেলানো কবিরা, ভয়ে জড়োসড়ো উপন্যাসিকরা, মগজ বিকানো মগজের কারবারিরা।

আমাদের এখন একটাই আশা, সুমন চট্টপাধ্যায়ের ঘরানারই হয়তো কোন একটা পুনরুজ্জীবন ঘটবে, ‘ছোটো ছোটো দীর্ঘশ্বাসগুলো মিলে কবেএকটা ঝড়ো হাওয়া উপমহাদেশজুড়ে কাঁপিয়ে দেবে। শুধু সুমনের নবজাগরণ বলে নয়, আমাদের শিল্পরুচির, আমাদের সহ্য করার অভ্যাসের, আমাদের আমলে না নেয়ার সংস্কৃতির একটা রূপান্তেরর সূচনা হোক।

ফিরোজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন। সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন

One thought on “ফিরোজ আহমেদ: সুমন চাটুয্যের একঘেয়ে সুর…

Leave a comment